তাইওয়ানে আরো অস্ত্র সরবরাহ ও সামরিক সহায়তার মার্কিন ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ বলে অভিহিত করেছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্বশাসিত তাইওয়ানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার সামরিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের জন্য ৫৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত সহায়তা অনুমোদন করেছেন। এছাড়া, প্রতিরক্ষা বিভাগ শুক্রবার জানিয়েছে, ২৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করা চীন স্বভাবতই এটি পছন্দ করেনি।
রবিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তাইওয়ানকে সমর্থন এবং অস্ত্র সরবরাহ ‘আগুন নিয়ে খেলার’ মতো, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে তাইওয়ানে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে এবং তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত করে এমন ‘বিপজ্জনক পদক্ষেপ’ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও তাইওয়ানকে ৫৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আবারও ৫৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের সহায়তা অনুমোদন করলেন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাইওয়ানের আত্মরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও চীনের হুমকি প্রতিহত করতে তারা এই সহায়তা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাকে স্বাগত জানিয়েছে তাইওয়ান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষার প্রতি মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত হলো এর মাধ্যমে।
এদিকে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার মেয়াদকালে তাইওয়ানে যদি চীন হামলা চালায়, তবে তিনি তাইওয়ানের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না।
তিনি আরো বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য তাইওয়ানের উচিত যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ প্রদান করা।
বর্তমানে, তাইওয়ান তার জিডিপির প্রায় আড়াই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে।