আন্তর্জাতিক

রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার জয়ের

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে তার পরিবারের দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভুয়া’ এবং ‘উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছেন। 

২০১৫ সালে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটমের সাথে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুরে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্পের চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি ও ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের মাধ্যমে বিভিন্ন অফশোর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে রূপপুর প্রকল্প থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক অনিয়ম ঘটেছে। এনিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে গত সোমবার জানিয়েছে সংস্থাটি।  

কেন্দ্রটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রোসাটম প্রকল্পে দুর্নীতির অস্বীকার করে বলেছে যে, তারা তাদের প্রকল্পগুলোর দুর্নীতিরোধের প্রচেষ্টায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

রোসাটম স্টেট কর্পোরেশন এক ইমেইল বার্তায় রয়টার্সকে বলেছে, “আমরা আমাদের স্বার্থ এবং খ্যাতি আদালতে রক্ষা করতে প্রস্তুত।”

সংস্থাটি  বলেছে, “আমরা গণমাধ্যমে মিথ্যা বিবৃতি প্রদানকে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা সমাধান এবং বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য বাস্তবায়িত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছি।”

সজীব ওয়াজেদ জয় অভিযোগ অস্বীকার করে তার অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, “আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা কখনোই কোনো সরকারি প্রকল্পে জড়িত ছিলাম না বা এর থেকে অর্থ উপার্জন করিনি।” 

তিনি বলেন, “আমি যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি এবং আমার খালা ও খালাতো ভাই-বোনরাও যুক্তরাজ্যে প্রায় একই সময় ধরে বসবাস করছেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের এই দুই দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমাদের কোনো অফশোর অ্যাকাউন্ট নেই। যে পরিমাণ টাকার দাবি করা হচ্ছে, তার ধারেকাছেও আমরা কখনো যাইনি।” 

তিনি আরও বলেন, “১০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প থেকে বিলিয়ন ডলার সরানো সম্ভব নয়। আমরা লেনদেন এর সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবি করাটা একটি মিথ্যা অভিযোগ। আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছি, এই তথাকথিত লেনদেন প্রকাশ করতে এবং প্রমাণ করতে যে আমরা এসব অনিয়মে জড়িত।”

মন্তব্যের জন্য শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।