মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পানামা দখলের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে পানামার শত শত নাগরিক। বৃহস্পতিবার এ বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিরুদ্ধে এক প্রাণঘাতী বিদ্রোহের বার্ষিকী উপলক্ষে শত শত পানামার নাগরিক মিছিল করেছেন। ১৯৬৪ সালে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ, কিছু বিক্ষোভকারী নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছিল, যিনি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক জলপথটি পুনরুদ্ধারের হুমকি দিয়েছিলেন।
পানামায় মার্কিন সেনাদের উপস্থিতির প্রতিবাদে ১৯৬৪ সালের জানুয়ারিতে পানামায় সহিংস সংঘর্ষে ২০ জনেরও বেশি নিহত হয়। যাদের মধ্যে অনেকেই ছাত্র ছিলেন। দিনটিকে স্মরণ রেখে প্রতিবছর ৯ জানুয়ারি পানামায় শহিদ দিবস পালিত হয়। পানামার বাসিন্দাদের অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে ১৯৯৯ সালে পানামা খাল হস্তান্তর করতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে কয়েক দশক পরে গত সপ্তাহে আবারো নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পানামা খাল দখলের হুমকি দিয়েছেন।
৮৪ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত ইউনিয়নবাদী সেবাস্টিয়ান কুইরোজ বলেন, “আজ আমাদের শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করার দিন, কিন্তু বিশ্বকে এটাও বলার দিন যে পানামা সার্বভৌম এবং খালটি আমাদের।”
১৯৬৪ সালে নিহতদের স্মরণে নির্মিত চিরন্তন শিখার স্মৃতিস্তম্ভের কাছে পৌঁছানোর সময় মিছিলকারী জনতা ‘ছিটানো রক্ত কখনো ভোলা যাবে না’ এবং ‘পানামা থেকে হাত সরিয়ে নাও’ স্লোগান দেয়।