২০২০ সালের নভেম্বর মাসের এক সোমবারের রাত ৮টা ২৫ মিনিটে ক্যারোলিন ড্যারিয়ানের কাছে এমন একটি ফোন আসে যা সবকিছু বদলে দিয়েছিল। ফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন তার মা গিস লে পেলিকট।
বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে প্রোগ্রামের এমা বার্নেটের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ড্যারিয়ান তার মায়ের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে বলেন, “সে আমাকে জানায় যে, তিনি সকালেই জানতে পেরেছেন (আমার বাবা) ডমিনিক প্রায় ১০ বছর ধরে তাকে মাদক খাইয়ে আসছিল যাতে বিভিন্ন পুরুষ তাকে ধর্ষণ করতে পারে।
৪৬ বছর বয়সী ড্যারিয়ান বলেন, “সেই মুহূর্তে, আমি স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার মনে আছে আমি চিৎকার করেছিলাম, কেঁদেছিলাম, এমনকি তাকে অপমানও করেছিলাম। এটা ভূমিকম্পের মতো ছিল। সুনামি।”
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথমবার গিস লে পেলিকট আদালতে জানান, তার স্বামী ডমিনিক পেলিকট তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করতেন। এরপর অন্য পুরুষদের দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করাতেন তিনি। প্রায় এক দশক ধরে স্ত্রীর ওপর এই অমানবিক নিপীড়ন চালিয়েছেন ডমিনিক। গিস লের সঙ্গে এমন ভয়ানক ও অমানবিক ঘটনা ৯২ বার ঘটেছে। ৭২ জন পুরুষ তাকে ধর্ষণ করেন। ডিসেম্বরে ডমিনিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রায় এক দশক ধরে অমানবিক এই নির্যাতন চালানোর ঘটনায় ডমিনিকের সহযোগী অন্য ৫০ জনকেও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মায়ের সঙ্গে টেলিফোনে সেই কথোপকথনের চার বছরেরও বেশি সময় পর ড্যারিয়ান বলেছেন, তার বাবার ‘কারাগারে মারা যাওয়া উচিত।’
তিনি জানান, ডমিনিককে কখনোই তিনি আর বাবা বলে ডাকবেন না।