আওয়ামী লীগ সরকারের এই মেয়াদে সাফল্য আর অর্জনে এগিয়ে থাকা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অন্যতম নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় গত পাঁচ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি এমন সাহসী কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা মানুষের বাহবা পেয়েছে। এর মধ্যে নদী দখল রোধ এবং নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করার বিষয়টি রয়েছে। প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যেভাবে কাজ করেছে এই মন্ত্রণালয়, তা প্রশংসার দাবিদার।
এক সময় মানুষ সদরঘাটকে নিয়ে ব্যঙ্গ করতো। আজ সদরঘাট সৌন্দর্যের অন্যতম উদাহরণ। নৌ খাতে দেশে দক্ষতার অভাব ছিলো, সেখানে এখন দক্ষ জনবল তৈরি হচ্ছে। রয়েছে একাধিক মেরিটাইম ইনস্টিটিউট। পায়রা সমুদ্রবন্দর, ১৬টির বেশি ল্যান্ড পোর্ট, প্রায় ৪৩টির মতো নদীবন্দর এখন দেশের সম্পদ।
এসব যার অক্লান্ত পরিশ্রম আর সততায় সম্ভব হয়েছে তিনি নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নীরবে, নিভৃতে নৌ খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন তিনি। নৌ খাতের সাফল্য, সম্ভাবনা আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে রাইজিংবিডি কথা বলেছে তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাইজিংবিডির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এসকে রেজা পারভেজ।
রাইজিংবিডি: নদীকে দখলমুক্ত করতে আপনার জিরো টলারেন্স নীতি দেশের মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। নদী দখলের সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রভাশালীরা যুক্ত থাকে। কীভাবে সম্ভব হলো? খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: এটা ঢাকার চারপাশে আমরা করে ফেলেছি। আর সারাদেশে গণসচেতনতা তৈরি হয়েছে। এটা কিন্তু সরকারের একটা দায়িত্ব। স্থানীয় মাঠ প্রশাসনে যারা কাজ করছেন, আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জনপ্রতিনিধি যারা আছেন সংসদ সদস্য থেকে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ের সদস্যরাও এই জায়গাটায় ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করছে। নদী-নালা, খাল-বিল এগুলো দখল করে যে প্রবাহ বা জলাধার নষ্ট করা যাবে না এটা ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় মফস্বল এলাকায় নিজস্ব জলাধার থাকে সেগুলো ভরাট করছে। সেগুলোও কিন্তু সরকার এখন হস্তক্ষেপ করছে। জনসচেতনতা তৈরি হয়েছে। আমার জলাধার মানেই যে আমি ভরাট করে ফেলবো সেটি কিন্ত হবে না। এক্ষেত্রে কিছু যে অতিরঞ্জিত হচ্ছে না সেটা আমি বলবো না। ওভার অ্যাক্টিংও কিছু কিছু জায়গায় হচ্ছে। কাজের থেকে কথা বেশি হচ্ছে। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনেকেই বিভিন্নভাবে বলছে। আমাদের সবচেয়ে বড় কথা, দীর্ঘদিনের একটি জঞ্জাল, আমরা যে কথাটা বলি, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই দেশকে আলো দেখানোর মতো কোনো নেতৃত্ব তো আসেনি। বাংলাদেশকে যদি আলোকিত করার মতো কোনো নেতৃত্ব থাকে, সেটি দেশরত্ন শেখ হাসিনাই আছেন। তিনিই কিন্তু দেখেছেন।
অনেকে তো বর্তমান সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে চরমভাবে উত্তেজিত কতা-বার্তা বলে। কিন্তু এটা বলে না যে, পঁচাত্তর পরবর্তী যে সরকারগুলো দায়িত্ব পালন করেছে তারা কি করেছে। দীর্ঘদিনের এই জঞ্জাল কিন্তু এত কম সময়ে সেরে ফেলা কঠিন। আমরা কিন্তু চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি, করছি। দেশে তো একটা দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, এটা বিকৃত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিলো। মানে এই যে বলবে, ‘সরকার মাল দরিয়া মে ঢাল, সরকারি জিনিস খেয়ে নেও’, এটা নিয়ে কারো কোনো দায় নেই। বড় বড় সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কেন বন্ধ হয়ে গেছে? কেন মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে? কারণ সরকারি জিনিস পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যে সরকারই এসেছে তারা এসব লুট করে খেয়ে গেছে। এই নদী পর্যন্ত তারা দখল লুট করে গেছে। বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে, কিন্তু সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে না। এটা একটা সুগভীর পরিকল্পনা ছিলো বাংলাদেশকে একটা দখল করে নেওয়া।
এই জায়গা থেকে আমরা যে কাজগুলো করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী দেশটাকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন…আজ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের মাটিতে পা দিয়েই বলেছেন, বাংলাদেশ কোথায় চলে গেছে। একসঙ্গে ছিলাম। বাংলাদেশ আজকে কোথায়, আমরা আজকে কোথায়? বাংলাদেশ এই উচ্চতায় কিভাবে গেলো? এজন্য তো একটা লিডারশিপের দরকার হয়েছে। পৃথিবীর কোনো জায়গায় কোনো উন্নয়ন হয়নি লিডারশিপ ছাড়া। পঁচাত্তর পরবর্তী কোনো লিডার ছিলো না, তৈরি হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এটা হচ্ছে। চ্যালেঞ্জ তো নিতে হয়। চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সাহস সবার থাকে না। এক পদ্মা সেতুর চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন বলেই সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরে গেছে। পুরো বাংলাদেশ একটা রুপান্তর হয়ে গেছে। এই রুপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম হচ্ছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
রাইজিংবিডি: ঢাকার আশপাশের নদীদখল ও দূষণ নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী ছিলো? খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: আপনি যদি ঢাকার চারপাশের কথা চিন্তা করেন, সেখানে আমাদের যে চ্যালেঞ্জটা ছিলো, ঢাকার চারপাশ কিন্তু এখন বদলে যাচ্ছে। আমাদের যে ঢাকার চারপাশের নদীর যে দূষণটা সেটা আমরা করতে পারিনি। কারণ অনেক চ্যালেঞ্জ, সেখানে অনেক বিশেষায়িত ইকুপমেন্ট দরকার। সেগুলো আমরা সংগ্রহ করছি। আগামী এক দুই বছরের মধ্যে সংগ্রহে চলে আসবে। সেগুলো চলে আসলে এই যে নদীর তলদেশে যে বর্জ্য সেগুলো আমরা অপসারণ করতে পারবো।
এই চ্যালেঞ্জটা আমরা নিয়েছি। আর দূষণ যাতে না হয় সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করছে। অনেকগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। অনেকগুলো লক করা হয়েছে। সচেতনতা চলছে। এই যে নদী দূষণ হয়ে যায়, এটা কিন্তু অনেকে বুঝতেই পারতো না। এজন্য অনেকগুলো বেসরকারি সংস্থা কাজ করছে। মিডিয়া কথা বলছে। এই যে সামগ্রিকভাবে একটি প্রচারণা চলছে বা সচেতনতামূলক কাজ চলছে; এটা থেকে মানুষের ব্যাপক কাজ হয়েছে। এই কাজগুলোতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিকভাবে ছিলো। নদী দূষণ অনেক কমে গেছে। বুড়িগঙ্গার মাছও কিন্তু আমরা এখন খাচ্ছি।
রাইজিংবিডি: যুগের পর যুগ ঘিঞ্জি, নোংরা সদরঘাটের চেহারা বদলে দিয়ে সেটা নয়নাভিরাম করেছেন। মানুষ সেখানে এখন ঘুরতে আসে। আপনি দেখিয়েছেন সদিচ্ছা থাকলে, রুচি থাকলে পরিবর্তন সম্ভব। রুপান্তর কীভাবে করলেন? খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: প্রধানমন্ত্রীর মতো এমন সাহসী নেতৃত্ব যখন আপনার সাথে থাকবে সব পারবেন। দেখের আপনি একজন সাংবাদিক, আপনার সম্পাদক যখন সাহস দেবে, তখন আপনি অনেক সাহসী রিপোর্ট তুলে নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু সম্পাদক যদি সাহস না দেয় আপনি সেই ধরনের রিপোর্ট করবেন না। বাংলাদেশের নেতা যখন আমাকে সাহস দেয়, জনগণকে সাহস দেয়, তখন সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।
সদরঘাট ছিলো নেগেটিভ একটা উদাহরণ। বলা হতো উপরে ফিটফাট নিচে সদরঘাট। এখন সবাই বলছে, সদরঘাট ফিটফাট। মানুষ বলে যা কিছু খারাপ পানিতে ফেলে দেও। অথচ পানির অপর নাম জীবন। আমরা তো এখনও রাজনৈতিক ভাষা ব্যবহার করি যে, বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিবো। কেন বুড়িগঙ্গা কি ডাস্টবিন? ওখানে আপনি ফেলবেন কেন? এই যে দৃষ্টিভঙ্গিটা আমরা পরিবর্তন করছি, এটা হচ্ছে আমাদের সবেচেয় বড় সাফল্য।
রাইজিংবিডি: নৌ খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকারের পরিকল্পনা, পদক্ষেপ জানতে চাই। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: ১৬টির বেশি ল্যান্ড পোর্ট অপারেশনের চলে গেছে এতকিছুর মধ্যেও। আমাদের এখন নদীবন্দর প্রায় ৪৩টির মতো। যেগুলো বন্দর ঘোষণা করেছি। আমাদের একটা মাত্র মেরিন একাডেমি ছিলো, আরও ৪টি যুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা উদ্বোধন করেছেন। মেরিটাইম ইনস্টিটিউট হচ্ছে। আরো চারটি ইনস্টিটিউট প্রক্রিয়াধীন। এই খাতের আমাদের দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য নাবিকের প্রয়োজনে অবকাঠামোগত যে ভিত দরকার, সেটা কিন্তু আমরা তৈরি করছি। অতীতে কোনো সরকার কিন্তু এটাতে নজর দেয়নি।
রাইজিংবিডি: নদী-নালা, খাল-বিলে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে সরকারের ভূমিকা কী ছিলো? খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে ওইভাবে বন্যা মানুষকে সেভাবে ক্ষতি করছে না। কারণ নৌপরিবহন ও পানি সম্পদক মন্ত্রণালয় নদী-নালা, খাল-বিল সেগুলো কিন্তু ব্যাপকভাবে খনন করেছে। যে কারণে নদী ভাঙন অনেক কমে গেছে। বন্যা হলে আমাদের সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়, সেটা কিন্তু কমেছে। বন্যার স্থায়িত্ব কমে গেছে। পানি উঠছে, কিন্তু থাকছে না, নদীতে চলে যাচ্ছে। নদীর প্রবাহগুলো নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা আছে। তিনি বলছেন, নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। নদী কোথাও যেন থেমে না যায়। আমরা কিন্তু এই কাজগুলো করছি।
রাইজিংবিডি: সরকার সারাদেশে নৌ চলাচলের উপযোগী নৌপথ দশ হাজারে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছে। বিষয়টি একটু জানাবেন? খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: আমরা ড্রেজিং করে যে নৌপথটি তৈরি করছি এটাই হচ্ছে ডেভেলপমেন্ট। কিছুদিন আগে ভারতের একটি পর্যটকবাহী জাহাজ ব্যানারস থেকে কলকাতায় হয়ে বাংলাদেশ হয়ে তারা আসাম পর্যন্ত গেছে। সেখানে ইউরোপের পর্যটকরা ছিলো। নির্বিঘ্নে গেছে, বাধাহীন যাত্রা। আমাদের নৌ প্রটোকলের অধীনে ভারতের সঙ্গে আমাদের জাহাজ চলাচল করছে। ভুটানের সঙ্গে আমাদের নৌপথে ব্যবসা বাণিজ্য হচ্ছে। আমরা রাজশাহী থেকে মুর্শিদাবাদ রুটটা চালু করতে যাচ্ছি। আাদের গোমতী যেটা ত্রিপুরায় গেছে এই রুটগুলো ডেভেলপ করছি। এগুলো হচ্ছে নৌপথের ডেভেলপমেন্ট। দেখেন ইউরোপ কিন্তু এক জায়গায় হয়ে গেছে। ইউরোপের সেনজেন ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশে যেতে পারেন। আমরা চাচ্ছি যে, আমাদের আঞ্চলিক রিলেশনটা এরকম হোক। আমরা একাই বড় হতে চাই না। আমরা সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর এটাই দৃষ্টিভঙ্গি।
আপনি দেখেন ভারতের পিছিয়ে পড়া স্টেটগুলো ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম আজকে ট্রানজিট, নৌ প্রটোকলের কারণে তারা কিন্তু এখন উপকৃত হচ্ছে। তার মানে আমরা মানুষগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। অর্থাৎ কোনো মানুষ যাতে পিছিয়ে না থাকে। সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নৌপথগুলো যদি আমরা উন্নয়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের নৌ বাণিজ্য বা সম্পর্কোন্নয়ন বা মানুষের পাশে দাঁড়ানো বলেন; সবকিছু এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
রাইজিংবিডি: আওয়ামী লীগ সরকারের এই মেয়াদে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সাফল্য-অর্জন কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ সালে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি কি না, সেটি বিবেচ্য বিষয়। আমরা কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমরা মধ্য আয়ের দেশে কিন্তু চলে গেছি। আমাদের গ্রাজুয়েশন ২০২৪ সালেই হয়ে যেতো, সেটি ২ বছর বেড়েছে কোভিড এবং আন্তর্জাতিক সংকটের কারণে। কাজেই এইভাবে যদি বিশ্লেষণ করেন সামগ্রিকভাবে সরকার সফল। সরকারের একটি জায়গা দিয়ে তো সফলতা না। সামগ্রিকভাবে সফল হয় যখন, তখনই সফল। এখানে সরকারকে সামগ্রিকভাবে আমি সফল বলবো, সেখানে এই মন্ত্রণালয়ের যে কার্যক্রমগুলো ছিলো একইভাবে গতিশীল ছিলো। আমরা যেমন ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের কথা বলেছিলাম। আমরা সাড়ে ৭ হাজার পর্যন্ত চলে গেছি। যদি কোভিড এবং এই সংকটটা না হতো আমরা সেটা অর্জন করতে পারতাম। এটা আমাদের চলমান আছে। থেমে যাইনি।
নতুন পোর্ট পায়রা এখানে ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষ করে ফেলেছি। তার মানে প্রথম টার্মিনাল কিন্তু শেষ পর্যায়ে। নতুন এই পোর্ট স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে আমরা পেতে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি, আগামী বছরের প্রথম থেকে সেখানে জেটিতে বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করবে। চট্টগ্রাম বন্দরে যে আপগ্রেডের কাজগুলো ছিলো, সবগুলো কিন্তু আমরা সম্পন্ন করেছি। মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্রবন্দরের ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এই যে কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিলো। আমরা সেটা করতে পেরেছি।
এর বাইরেও আরা নতুন নতুন যে রুটে নদী পারাপার করার ক্ষেত্রে…বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য যে যাত্রী সেবাটা দেওয়া, সেটাও কিন্তু আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। আমরা মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি। আমরা এটা বলতে পারি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলো, সেগুলো অকেটাই সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে।
রাইজিংবিডি: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: রাইজিংবিডির পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষীদের আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
পড়ুন: খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব