নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাক্তন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অধিকাংশ প্রশ্নে নীরব থাকেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার বাবুল আক্তারকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মিতু খুন হওয়ার প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর এই প্রথম বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় তিনি ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল আক্তার উল্লেখযোগ্য কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি বলে সূত্র জানায়।
বাবুল আক্তারকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান। কঠোর গোপনীয়তায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শুক্রবার সকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, স্ত্রী হত্যার ঘটনা তদন্তের স্বার্থে মামলার বাদী হিসেবে বাবুল আক্তারকে ডাকা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি আবার ঢাকায় ফিরে গেছেন।
বাবুল আক্তারের কাছে কী তথ্য পাওয়া গেছে তা জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি তদন্ত কর্মকর্তা। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কর্মকর্তার অধিকাংশ প্রশ্নেই নিরুত্তর ছিলেন বাবুল আক্তার। সরাসরি কোনো বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। ওই ঘটনার পরদিন ৬ জুন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
এই হত্যাকাণ্ডের সূত্র ধরেই বাধ্যতামূলক পদত্যাগপত্রে সই নিয়ে পুলিশের চাকরি থেকে বাবুল আক্তারকে অপসারণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।
রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১৬ ডিসেম্বর ২০১৬/রেজাউল/রুহুল/বকুল