নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলার রায় পিছিয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ঠিক করেন।
নোমানের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, ‘আজ মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বাকি রয়েছেন। তাদের জেরা করার জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি। যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এজন্য আমরা রায় পেছানোর আবেদন করি। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে রায় ঘোষণার জন্য ১৫ জুলাই ধার্য করেন। একই সঙ্গে ওইদিন উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ আবদুল্লাহ আল নোমান আদালতে হাজিরা দেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিলো। ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ার কারণে দিন পিছিয়ে দেয়া হয়। আবদুল্লাহ আল নোমান অসুস্থ হওয়ার কারণে ১২ জুন আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য তার আইনজীবীরা রায় পেছানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ৭ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর প্রাক্তন এ মৎস্য ও পশু সম্পদমন্ত্রীর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করে দুদক।
একই বছরের ২৬ অক্টোবর নোমান নোটিশ গ্রহণ করেন। নোটিশ পাওয়ার পর আইনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। এমনকি তিনি সময় বৃদ্ধির জন্য কোনো আবেদনও করেননি।
এ ঘটনায় ১৯৯৮ সালের ১৯ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দুদকের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাহিদ বাদী হয়ে নোমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
২০০০ সালের ৩০ মে নোমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০০৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নোমানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০/জুন ২০১৯/মামুন খান/ইভা