সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন ছিল সদ্য যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার।
এ জন্য তিনি প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় করেছিলেন বলে জানা গেছে। বিশেষ ব্যক্তিদের দিয়েছেন বিশেষ উপহার। তবে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় তিনি আরো বেশি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। পাপিয়া রিমান্ডে এসব তথ্য দিয়েছেন।
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, নরসিংদীতে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন পেতে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন পাপিয়া। তবে যারা মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তারা ব্যর্থ হন। ওই নেতাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রিমান্ডে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরী বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। তাদের কখনো আলাদাভাবে, কখনো দুজনকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
২০১৫ সালে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পাপিয়া খরচ করেছিলেন তিন কোটি টাকা। প্রভাবশালী কয়েকজন নেতাকে দিয়েছিলেন বিশেষ উপহার। তাদের নির্দেশেই ওই সময় পাপিয়া যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তবে বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করে মনোনয়ন না পেয়ে পাপিয়া ও তার সহযোগীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। করতে থাকেন মাদক, অস্ত্র ও নারী ব্যবসা।
প্রতারণা, অবৈধ অর্থপাচার, জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা/মাকসুদ/ইভা