আইন ও অপরাধ

পাপিয়া-সুমনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২০ জুলাই বিশেষ ব্যবস্থায় এই  দুই জনকে কাশিমপুর কারাগারে গেটে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

রোববার (২৬ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য  এই তথ‌্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত ১৩ জুলাই শিমপুর কারাগারের গেটে পাপিয়া ও সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চান দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা (উপপরিচালক) শাহীন আরা মমতাজ। 

প্রসঙ্গত, বিদেশে অর্থপাচারসহ কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চলতি বছরের ১ মার্চ পাপিয়া ও সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।  অনুসন্ধানে মাদক ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোটি টাকার সম্পদপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়েছে সংস্থাটি।

অনুসন্ধানে পাপিয়ার যেসব অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তার মধ্যে রয়েছে—হোটেল ওয়েস্টিনে বিল হিসাবে জমা সাড়ে তিন কোটি টাকা। এছাড়া রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা ৬০ লাখ টাকা ও নরসিংদীর একটি বাড়ি।

এছাড়া, পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরীর নামে নরসিংদীর প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকে অর্ধডজন অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া দুদক।  এসব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ লাখ টাকা জমা আছে বলে জানা গেছে।  তবে, এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস খুঁজে পাননি অনুসন্ধান কর্মকর্তা  দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘অনুসন্ধান চলছে। আইন-কানুন দেখে  ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  সম্পদের বৈধ উৎস দেখাতে না পারলে পাপিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’

উল্লেখ‌্য,  চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বাকিরা হলেন সুমন চৌধুরী, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা।

এরপর রাজধানীর বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাপিয়া ও সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  এর মধ্যে গত ২৯ জুন অস্ত্র আইনের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুজ্জামান।

 এম এ রহমান/এনই