জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বিরোধিতাসহ ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেননি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার আবেদন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক।
এদিন আদালত বাদীর দায়ের করা মামলার আবেদনেরর ওপর শুনানি শেষে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরমর্শ দেন। একইসঙ্গে নথিও ফেরত দেন আদালত।
এই প্রসঙ্গে মামলার বাদী আবদুল মালেক বলেন, ‘আদালত শুনানি শেষে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যেতে বলেছেন। এরপর আমরা মামলার আবেদন ফেরত নিয়ে আসি।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর বিএমএ মিলনায়তনে যুব খেলাফত মজলিশের ঢাকা মহানগর শাখার সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে মামুনুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে লাশের পর লাশ পড়বে। আবার শাপলা চত্বর হবে।’ সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। মামুনুল হকের বক্তব্যের পর একটি মহল বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদী। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে বিরোধিতা করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করা হয় আবেদনে।
উল্লেখ্য, এরআগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের দুটি মামলা দায়ের করা হয়।