দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ও পাসপোর্ট জব্দ করতে পারবে। তবে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে গ্রহণযোগ্য কারণ দেখিয়ে তার অনুমোদন নিতে হবে। আদালত যখন পর্যন্ত দুদকের আবেদন বাতিল বা অনুমোদন না দেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত দুদকের আরোপিত আদেশ কার্যকর থাকবে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক সচিব বলেন, দুদকের একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল- আদালতের অনুমতি ছাড়া, দুদক কারো বিদেশ যাত্রা আটকাতে পারবে না। এরপর আরেকটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেকোনো তদন্তের স্বার্থে কারো বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। তবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে আদালত থেকে যথাযথ অনুমোদন নিতে হবে।
সচিব আরও বলেন, আগে যেসব লোকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ভূতাপেক্ষ অনুমোদনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে আদালত কতগুলো বিষয় অনুমোদন দিয়ে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, দুদকের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা আদালত বাতিল করা পর্যন্ত সেটা কার্যকর থাকবে।
জানা গেছে, দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সংসদ হুইপসহ ৬ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ৭ জুন আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো কারবার ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের এক আবেদনে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জাতীয় সংসদের হুইপ, চট্টগ্রামের পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান সাজ্জাদুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হাই এবং ঢাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ।