পুরান ঢাকার বংশালে মো. ইমন আহম্মেদ (১২) নামে এক কিশোর হত্যা মামলায় সাত জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৩ জুন) উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- ইমরান, মবিনুর রহমান তানজিল, ফয়েজ, নয়ন হোসেন, সুজন মিয়া, শাহেদ হোসেন এবং ইয়াছিন খান আকাশ।
এদের মধ্যে আকাশ শিশু হওয়ায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ তার রিমান্ড শুনানি হয়। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপর ছয় আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই (নিরস্ত্র) রাশিদুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। কয়েক আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়।
মঙ্গলবার (২২ জুন) রাতে আসামিদের বংশাল থানাধীন আগামাসি লেনসহ আশ-পাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, আগামসি লেনের একটি বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো ইমন। আরমানিটোলা আহমেদ বাওয়ানি সরকারি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। ১৯ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গবাজারে তার চাচার দোকান থেকে চিপস কেনার কথা বলে ১০ টাকা নিয়ে বের হয়।
রাত পৌনে ৯টার দিকে ইমনের বাবা মো. বাবুলকে অজ্ঞাতনামা একজন ফোন দিয়ে জানায়, ইমন তার কারখানার একটা ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তাকে নিয়ে সে হাসপাতালে যাচ্ছে। ওই ব্যক্তি তার নাম্বারে টাকা পাঠাতে বলে। ইমনের কথা জিজ্ঞেস করলে জানায়, তার ছেলে ওপরে গেছে, এলে কথা বলবে।
এরপর থেকে ফোন নাম্বারটি বন্ধ ছিল। ইমন ফিরে না আসায় ২০ জুন বংশাল থানায় জিডি করা হয়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আগামাসি লেনের একটি নির্মানাধীন ভবনের পঞ্চম তলায় ইমনের লাশ পায় তার পরিবার।
এ ঘটনায় ২১ জুন বংশাল থানায় মামলা করেন ইমনের বাবা মো. বাবুল।