অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুইটি ধারায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেকের (৬৩) ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ১৫ বছর ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় তাকে আরও ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে আদালত জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাকে ১৫ বছরই সাজা ভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আব্দুল মালেকের আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার পায়নি। উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান আব্দুল মালেক।
আরও পড়ুন: রায় শুনে মালেক বললেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
মামলাটি ঢাকার এক নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বিচারাধীন ছিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার অবশিষ্ট অংশ বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হয়।
গত ১১ মার্চ আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই মেহেদী হাসান চৌধুরী মালেকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পরিদর্শক (শহর ও যান) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।