আবরার হত্যা মামলার রায়ে ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের একজন আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না।
রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় মুন্নার মা কুলসুম আরা শেলী বলেন, ঘটনার দিন মুন্না আমার সাথে ওর এক কাজিনের বিয়েতে ছিলো। তারপরও ওর কেন সাজা হলো বুঝছে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ৬ অক্টোবর হবিগঞ্জে আমার সাথে বিয়ে বাড়িতে ছিল। মেহেদী হাসান রবিন ঘটনার বিষয়ে ওকে জানায়। বিয়ে বাড়িতে থাকার কারণে সে এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। পরদিন ভোরে সে ঢাকায় আসে। এরপর সন্দেহভাজন হিসেবে ওকে গ্রেপ্তার করে। তখন বলা হয়েছিল, ওকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। আশা করছি, সেখানে ন্যায়বিচার পাবো।’
মুন্নার সাথে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘কথা হয়েছে। তেমন কিছু বলেনি।’
প্রসঙ্গত, তিন ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে আব্দুল আহাদ ও শেলী দম্পতির সংসার। হবিগঞ্জে ফার্নিচার ও স-মিলের ব্যবসা করতেন আব্দুল আহাদ। আর শেলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাকরি করতেন। ২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারি মারা যান আব্দুল আহাদ। বড় ছেলে আর্মিতে ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত। মেঝ ছেলে ইশতিয়াক মুন্না বুয়েট শিক্ষার্থী আর ছোট ছেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসইতে অধ্যয়ন করছে।