‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ে ন্যায় বিচার করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানের নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘এই মামলায় মোট আসামি ২৫ জন। তাদের মধ্যে ২২ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। বাকী তিন জন শুরু থেকেই পলাতক। মামলার রায়ে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মামলার রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের পুরো কপি আমি পাইনি। তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, এই রায়ে প্রকৃত বিচার বা ন্যায় বিচার করা হয়েছে। এই মামলাটিতে যেভাবে রাষ্ট্রপক্ষ কাজ করেছে, আমি আপনাদের মাধ্যমে তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু মামলা আছে, যেগুলো সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়। সরকারের দায়িত্ব এসব মামলা দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে আশ্বস্ত করা— আইনের শাসন দেশে বিরাজ করছে। সেই দায়িত্ব পালনে শেখ হাসিনার সরকার এখন পর্যন্ত সফল।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের রায়ের ফলে প্রমাণ হলো অপরাধী যেই হোক না কেন পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এমন হত্যাকাণ্ড অপরাধ করে কেউ নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াতে পারবে না। রাজনীতি করতে পারবে না। যেহেতু এটা ডেথ রেফারেন্স, এর নথিপত্রকে বলে পেপার বুক। আমরা তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে দেব। যেনো পেপার বুক তৈরির জন্য হাইকোর্টে কোনো বিলম্ব না হয়।’
অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আমার কাছে এসেছেন, তারা এ বিষয়ে একটা বক্তব্য দিয়েছেন। সেই পদ্ধতিতে অন্য কোনো দেশে, এমনিক উপমহাদেশের কোনো আদালতে মুক্তি দেওয়ার নজির আছে কি না সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অচিরেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’