এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে নতুন আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেছেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত।
অপর আসামিরা হলেন—এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি পি কে হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিব প্রসাদ ব্যানার্জি, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জি, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার ও এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট থেকে ৪৪ কোটি টাকা তুলে আত্মসাৎ ও পাচার করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন।
ঘটনার বিবরণীতে বলা হয়, দিয়া শিপিং লিমিটেডের এমডি শিব প্রসাদ ব্যানার্জি ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কাছে ছয় বছরের জন্য ৪৪ কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য এফএএস ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল শাহরিয়ার বরাবর এ আবেদন করা হয়। রাসেল শাহরিয়ারও এই মামলার আসামি।
সেই ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে শিব প্রসাদ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৩২ ডেসিমল জমি দেখান। ঋণ অনুমোদনের জন্য ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর বোর্ডে তা উপস্থাপন করেন রাসেল।
সংস্থাটির ১৬৩তম বোর্ড সভায় ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত হয়ে কোনো প্রকার আপত্তি ছাড়াই ঋণ দেওয়ার জন্য পরিচালক এম এ হাফিজ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, তৎকালীন পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক উজ্জ্বল কুমার নন্দী, অঞ্জন কুমার রায়, অরুণ কুমার কুণ্ডু, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, সত্য গোপাল পোদ্দার ও মো. রাসেল শাহরিয়ারকে দায়ী বলে মনে করছে দুদক।
১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হন পি কে হালদার। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাকে গ্রেপ্তার করে।