ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদকের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। তদন্তের পরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা বলেন।
হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা এ ঘটনার পারিপার্শ্বিক নানা বিষয় নিয়ে তদন্ত করছি। হেফাজতে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাও আছে। তার কাছ থেকে আমরা তথ্য আদায়ের চেষ্টা করছি। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পর আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরবো। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা মাদকের জন্যই যে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো ধারনা পাইনি।
রিমান্ডে থাকা ফারদিনের বান্ধবী বুশরার কাছ থেকে হত্যার মোটিভ সম্পর্কে কোন কারণ জানতে পেরেছেন কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। রিমান্ডে তিনি ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। যেগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। তার রিমান্ড শেষ হলে সব কিছু বলতে পারবো।
জানা গেছে, এ ঘটনার পেছনে পারিবারিক, প্রেমঘটিত, রাজনৈতিক বিদ্বেষ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে স্পেনের মাদিদে যাওয়া নিয়ে কারো সঙ্গে কোন বিরোধ ছিল কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করছে গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। এ খবরে তার পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ফারদিনকে শনাক্ত করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার শরীরে জখমের চিহ্ন ছিলো। পরে এ ঘটনার তিনদিন পর নিহতের বাবা রানা বাদি হয়ে রামপুরা থানায় নিহতের বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।