কটূক্তিকর পোস্ট দেওয়ার মামলায় রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসার কলেজের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান রেইলির দুই বছর ৭ মাস কারাবাসের মেয়াদকে কারাদণ্ড হিসেবে রায় দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত আসামির স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, আসামি ইসরাত জাহান রেইলি বেগম বদরুন্নেছার কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষর্থী ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের নভেম্বর ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) কে নিয়ে কটূক্তি করেন। সে বিষয়ে আজ (বুধবার) তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যেহেতু আসামির ছোট একটি সন্তান রয়েছে। আর আসামি স্বেচ্ছায় অপরাধ স্বীকার করেছেন। আদালত তার কারাবাসের মেয়াদ ২ বছর ৭ মাসকে কারাদণ্ড ধরে রায় দিয়েছেন।
আদালতে এ মামলার শুনানিকালে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর থেকে কারাগারে থাকা ইসরাত জাহান রেইলিকে এদিন কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলায় এদিন চার্জগঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামির পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান দীর্ঘদিন হাজতবাস এবং শিশু সন্তান থাকার বিষয়টি বিবেচনা করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানির সময় বিচারক বলেন, কারাবাস অনেক দিন হয়েছে। যদি আসামি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করেন তবে আসামির কারাবাসের মেয়াদকে কারাদণ্ড হিসেবে ঘোষণা করতে পারি।
তখন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান আসামির সঙ্গে এ সংক্রান্ত কথা বলেন। তবে আসামি প্রথমে বলতে চান যে, তিনি এ তথ্য ছড়াননি। মোবাইলও তার নয়। তিনি এ অপরাধ করেননি। তখন আইনজীবী বুঝিয়ে বলেন যে, পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে, আর এ মামলার বিচার আরও কত বছর পর শেষ হবে বলা যায় না। এরপর সে দোষ স্বীকার করতে রাজি হন।
ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.)কে কটুক্তির পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর র্যাব-৪ এর হতে গ্রেপ্তার হন ইসরাত জাহান রেইলি (২৩)। ওই ঘটনায় রাজধানীর দারুসসালাম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। ২০২২ সালে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়।