আইন ও অপরাধ

বিএনপি নেতা টুকুকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

দুর্নীতির মামলায় ৯ বছরের দণ্ড বহাল থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যর্থতায় তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আদেশ দিবেন আদালত।

হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর ২৭ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান সোহান এ তথ্য জানান।

এদিকে, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিও গত ২৭ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-১ আবুল কাশেমের আদালতে পৌঁছেছে।

উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। সে হিসেবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর শেষ হবে উচ্চ আদালত থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া সময়।

গত ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন। একই বেঞ্চ টুকুরও ৯ বছরের সাজা বহাল রাখেন।

২০০৭ সালের মার্চ মাসে টুকুর বিরুদ্ধে চার কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি করেছিলেন। কমিশনের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।

পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।