দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে ঢাকার জজ কোর্ট প্রাঙ্গণের দোকানগুলোতে থাকা সাদা শার্ট অধিকাংশই মুহূর্তেই বিক্রি হয়ে যায়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ আত্মসমর্পণ করবেন আমান, এমন খবরে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে জমা হতে থাকেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া অন্যদের প্রবেশ সীমিত হওয়ায় নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই ঢাকা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণের দোকানগুলো থেকে সাদা শার্ট কিনেন। জজ কোর্টের অলিগলিতে এমনকি আদালত প্রাঙ্গণে তাদেরকে আগের পরিহিত পোশাক খুলে সাদা শার্ট গায়ে দিতে দেখা যায়।
সকাল ১১টার মধ্যেই কোর্ট প্রাঙ্গণের পাঁচটি অস্থায়ী দোকান থেকে প্রায় ছয়-সাতশ’ সাদা শার্ট বিক্রি হয়ে যায়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ প্রাঙ্গণ ভুয়া আইনজীবীতে ভরে যায়। তারা সাদা শার্ট পরলেও প্যান্ট কালো ছিল না। অনেকের পায়ে দেখা যায় স্লিপার বা স্যান্ডেল। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। পুলিশ বেলা ১১টার দিকে তাদের আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে অনুরোধ জানায়। তারা না শুনলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে মুহূর্তেই আদালত অঙ্গন ফাঁকা হয়ে যায়।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। কয়েকজন দোকানিকে শার্ট বিক্রি করতে নিষেধ করেন তারা। সন্দেহ হলে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্লোগান দেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা।
হুমায়ন নামের এক দোকানি বলেন, এখানে দুজন সাদা শার্ট বিক্রি করছিল। ভালোই বিক্রি করছে। পরে কয়েকজন আইনজীবী তাদের এখান থেকে তুলে দেয়। এখানে শার্ট বিক্রি করতে নিষেধ করেছে। পরে জানলাম, বিএনপির নেতাকর্মীরা সাদা শার্ট পড়ে আদালতে অবস্থান নিচ্ছে। লোভ করতে গিয়ে তাদের ক্ষতি হয়ে গেলো। তাদের এখানে আর শার্ট বিক্রি করতে দেবে না। প্রতিদিন ৫০টা শার্ট বিক্রি করত। লোভে পড়ে বেশি বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেলো।
এদিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আমান আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। দুপুর সোয়া ১টার দিকে শুনানি শেষে ঢাকার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।