হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির মামলায় চার রাজস্ব কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। রিমান্ডে আসামিরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উত্তরা জোনাল টিমের পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম সোমবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে। এদের মধ্যে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ ও সিপাহী নিয়ামত হাওদারের পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড এবং অন্য পাঁচ আসামি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আকরাম শেখ, মাসুম রানা, সিপাহী সিপাহী মোজাম্মেল হক, রেজাউল করিম ও আফজাল হোসেনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তিন আসামির পুনরায় চার দিনের রিমান্ড এবং পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মোজাফফর আলী এসব তথ্য জানান।
আবেদনে বলা হয়, আকরাম শেখ ও মাসুম রানা গোডাউনের বিভিন্ন অনিয়ম সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। একজন একজন কর্মকর্তা আসামিদের কোনো ঝামেলা ছাড়া দায়িত্ব বুঝে নিতে বলেন। যদি না নেয় তাহলে চাকরি খাওয়ার ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। যা যাচাই-বাছাই চলছে।
আসামিদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ও নিয়ামত জিজ্ঞাসাবাদে জানান, বিমানবন্দরের ট্রানজিট ও মূল্যবান গুদামের দায়িত্ব গত জানুয়ারি গ্রহণের পর আনুমানিক এক থেকে দেড় মাস পর একজন যাত্রীর ধৃত মালামাল বুঝিয়ে দেওয়ার সময় আলমারিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তখন আগে দায়িত্বরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে এ তিন আসামিসহ পূর্ববর্তী রাজস্ব কর্মকর্তা এবং তার অধীনস্থ সিপাহী মিলে ওই যাত্রীর মালামাল গুদামে খোঁজ করতে থাকেন। ঐদিন মালামাল না পাওয়া গেলে পরের দিনও যথারীতি খোঁজাখুঁজি অব্যাহত থাকে। পরবর্তীতে মালামাল না পাওয়া গেলে শহিদুল ও সাইদুল আগে এ. আর. ও এর পরামর্শে আসামিরা গণবাজেয়াপ্তা স্বর্ণ থেকে নিয়ে ওই যাত্রীকে দেন। এর ফলে বাজেয়াপ্ত স্বর্ণ থেকে ওই পরিমাণ মালামাল প্রকৃতপক্ষে হ্রাস পেয়েছে।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।