ঢাকার আশুলিয়ায় একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে হত্যার মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মূল হোতা সাগর আলী (৩১)। তার স্ত্রী ঈশিতা বেগমের (২৫) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোমেনুল ইসলাম দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তাদের মধ্যে সাগর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড এবং ইশিতা বেগমের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান সাগরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আরেক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন ঈশিতার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আদালতে আশুলিয়া থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মাসুদ মিয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার (২ অক্টোবর) রাতে গাজীপুরের শফিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সাভারের বারইপাড়া এলাকায় সাগর আলীর সঙ্গে মোক্তার হোসেন বাবুলের পরিচয় হয়। ভেষজ ওষুধের দোকানে মোক্তারের শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা নিয়ে কথা হয় দুজনের। মোক্তারের চিকিৎসার বিষয়ে সাগরের সঙ্গে ৯০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে সাগর ও তার স্ত্রী গাজীপুরের মৌচাক থেকে আশুলিয়ার ইউনিক মোড়ে মোক্তারের ভাড়া করা বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে মোক্তার হোসেন বাবুল (৫০), তার স্ত্রী সহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয়কে (১২) অজ্ঞান করা হয়। পরে বটি দিয়ে কুপিয়ে গলা কেটে তাদের হত্যা করে সোহাগ ও ঈশিতা। এ ঘটনায় ১ অক্টোবর দুপুরে মোক্তার হোসেনের ভাই আয়নাল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
মোক্তার হোসেন বাবুল ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে।