আইন ও অপরাধ

দুদকে ড. ইউনূস, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তল‌বে সাড়া দি‌য়ে সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে এসেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুদ‌কের উপপ‌রিচালক গুলশান আ‌নোয়া‌রের নেতৃ‌ত্বে এক‌টি টিম তা‌কে জিজ্ঞাসাবাদ কর‌ছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টােবর) সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে দুদক কার্যালয়ে যান তিনি। এ সময় তার স‌ঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসানও দুদক কার্যালয়ে যান।

ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবা‌দিক‌দের জানান, উনি (ড. ইউনূস) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দুদক থেকে নোটিশ পাওয়ার পর জবাব দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন।

এর আগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্ট ১৩ জনকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে নোটিশ দেয় সংস্থাটি।

এর আগে গত বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। গতকাল দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

তিন কর্মকর্তা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এছাড়া আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী, আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।