আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে এক হাজার ১৫১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিপুলসংখ্যক বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে এবং শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশের নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সম্ভাব্য ব্যয় নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ভোটের মাঠে আনসার ৫ লাখ ১৬ হাজার, পুলিশ (র্যাবসহ) ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড ২ হাজার ৩৫৫ জন, বিজিবির সদস্য থাকবেন ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের কথা ছিল ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
কিন্তু গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত হয়। ২৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের মাঠে থাকার নতুন সিদ্ধান্ত জানায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে যানবাহনের জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ ও ভাড়া, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দৈনিক ভাতা, কন্টিনজেন্সি, ক্যাম্প/বাসস্থান, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং টেলিফোন বিল নির্বাচন কমিশন বহন করবে।
উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন তারা। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।