আইন ও অপরাধ

‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রোজার আগেই নামবে ভ্রাম্যমাণ আদালত’ 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে রোজার আগেই ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করবে। এজন্য আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। 

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর মিজান মালিকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মায়াতন্ত্র’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং কারও কারসাজির জন্য যাতে বাজারে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি না হয়, সেজন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তৈরি করা হয়েছে, তারা সুন্দরভাবে কাজ করছে। রমজান মাসে কোনো কুচক্রী মহল যেন বাজার অস্থিতিশীল না করতে পারে, সেজন্য আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব।

তিনি বলেন, এই কাব্যগ্রন্থের কবি মিজান মালিক পেশাদার শিক্ষক বা পেশাদার সাংবাদিক হয়েই থাকতে পারতেন। কিন্তু, তিনি কখনো সেখানে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি যেসব কাজ করেন, সবগুলো জ্ঞানচর্চার বিষয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবিতা, গান ও ছোটগল্প লিখে আসছেন। নতুন যে বইটি প্রকাশ করেছেন, তার নাম দিয়েছেন মায়াতন্ত্র। মায়া বলতে সহজে আমরা ভালোবাসা এবং ফিলিংসকে (অনুভূতি) বুঝি। আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। মায়া হারিয়ে যাওয়া মানে ভালোবাসা হারিয়ে যাওয়া। মায়া এবং ভালোবাসা একটি আরেকটির প্রতিশব্দ। 

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, বইয়ের ভেতরে যে কবিতাগুলো আছে, আমি বুঝতে পেরেছি, সেগুলো প্রেম- প্রকৃতি নিয়ে লেখা। প্রেম-দ্রোহ, বিষণ্নতা-অপ্রাপ্তি সৃজনশীলভাবে উঠে এসেছে তার কবিতায়। ৬৭টি কবিতা নিয়ে বইটি বেরিয়েছে, যার মূল্য ২৫০ টাকা। বইটির ছাপা, মলাট, বিন্যাস, অঙ্গসজ্জা সবই অতুলনীয়। আমি মনে করি, বইটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে। বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন বলেন, ‘মিজান মালিকের সঙ্গে আমি একই হাউজে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। তার মধ্যে আমি সে সময় যে প্রতিভা দেখেছিলাম, সেটিকে নিয়ে তিনি এগিয়ে চলছেন। পেশা এবং লেখালেখি দুটিকেই সমানভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে আমি মনে করি, তিনি স্বার্থক।’

তিনি আরও বলেন, ‘মায়াতন্ত্র বইটিতে মিজান মালিক যে নতুন একটি ভাষা দিয়েছেন, আশা করি, বইটা পড়লে সেটা আপনারা অনুভব করতে পারবেন। আশা করি, মিজান মালিক সাহিত্য এবং বইয়ের প্রতি ভালোবাসা সবসময় অব্যাহত রাখবেন।’

কবি মিজান মালিক বলেন, ‘একটি উপন্যাসের ভেতরে যেমন অনেকগুলো চরিত্র থাকে, একজন লেখকের ভেতরে তেমন অনেকগুলো মনন থাকে। একজন লেখক কখনও তার লেখার সাথে আপস করতে পারেন না।’

ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—ফোডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি মধুসূদন মণ্ডল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকুর আলী শুভ, ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার পলাশ প্রমুখ।