চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় জাল জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) এ মামলা করা হয়। এর আগে বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। মানবপাচার ও অবৈধভাবে আটক রাখার অভিযোগে আরও ২টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
পড়ুন: মিল্টনের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ, সবকিছু বিবেচনায় নেবে ডিবি
মিরপুরের গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মানস কুমার পোদ্দার বলেন, মিল্টন সমাদ্দার তার আশ্রমে মৃত ব্যক্তিদের মৃত্যু সনদ জাল তৈরি করতেন। এক্ষেত্রে তিনি চিকিৎসকের স্বাক্ষর করতেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও মানবপাচারের অভিযোগে আরও ২টি মামলা করা হবে।
এর আগেত গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে আমরা অজস্র অভিযোগ পেয়েছি। সে বলেছে তার দুটি আশ্রম রয়েছে। সাভারের আশ্রমে পাঁচশ থেকে সাতশ লোক রয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে ২০ থেকে ৩০ জনের বেশি লোক নেই। আমরা তাকে নিয়ে এসেছি। কিছু অভিযোগকারী রয়েছেন, তারাও মামলা রুজু করবে। আমরা মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো কত সংখ্যক মানুষ তার কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল। কত সংখ্যক মানুষ মারা গেল। তার আশ্রমে যে অপারেশন থিয়েটার রয়েছে, এর মাধ্যমে কিডনি বিক্রি করেছে কিনা সেটিরও তদন্ত করা হবে।
পড়ুন: মিল্টন সমাদ্দার আটক
তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার নিজেই কেন ডেথ সার্টিফিকেট নিজের সাক্ষরে তৈরি করেছেন এবং সেখানে ডাক্তারের কোনও সিগনেচার কেন নেই সেগুলো খুঁজে বের করা হবে। আমরা সবকিছু তদন্ত করে পরবর্তীতে আপনাদের জানাব। আমরা তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো তদন্ত করে তাকে রিমান্ডে নিয়ে পরবর্তী বিষয়গুলো জানাব।