অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৩ মে) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।
হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় তার খালা নাহিদ আক্তার ২ নভেম্বর রাতে জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) হিমুর বয়ফ্রেন্ড। গত ৬ মাস আগে থেকে সে নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত করে এবং মাঝে মধ্যে বাসায় রাত্রী যাপন করতো। ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক দেয় হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দিলে মিহির বাসার মেইন দরজা খুলে দিলে সে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে। মিহির তার রুমে চলে যায়। ৫টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলে হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন সে বাথরুমে ছিলো বলে জানায়। ওই সময় হিমু রুমের সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মিহির সাথে সাথে হিমুর রুমে প্রবেশ করে গলায় রশি লাগানো ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পায়। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক তারা দুজন হিমুকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুইটি নিয়ে কৌশলে চলে যায়।
হিমু আসামির ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক দেয়। ওই বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হলে রুফি হিমুকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করে। হিমু ইংরেজি বিকেল ৩টার পর থেকে ৫টা আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় রাগে ও ক্ষোভে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করেন নাহিদ আক্তার।