আইন ও অপরাধ

সংসদ ভবনের সামনে যুবক খুন: ২ জন রিমান্ডে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনন্দ মিছিল শেষে সংগঠনের দুই গ্রুপের বাগবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে মেহেদি হাসান (১৭) নামে এক কিশোর নিহতের মামলায় ২ জনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া দুই আসামি হলেন রবিউল ইসলাম ও রাজীব।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সজীব দে আসামিদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামিদের পক্ষে রফিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামিরা নির্দোষ। ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, সেনসিটিভ জায়গায় সেনসিটিভ বিষয়। ছুরিকাঘাতে হত্যা। বাজে বিষয়। অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তবে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে মারপিট করা যাবে না। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ১৮ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনন্দ মিছিল শেষে নিজ এলাকায় পায়ে হেঁটে ফিরছিলেন মেহেদি ও তার সহকর্মীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেরেবাংলা নগর থানাধীন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংসদ ভবনের ১১ নম্বর গেটের পশ্চিম দিয়ে বের হয়ে বাসায় ফিরছিলেন তারা। রাস্তা পারাপারের সময় পিকআপ ভ্যানে থাকা অন্য একটি দলের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষ হয়।

পরে প্রতিপক্ষকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে গেলে মেহেদীসহ অন্যান্যরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের চাকুর আঘাতে আহত হয় মেহেদী। পরে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মেহেদীর মামা চয়ন মিয়া শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মেহেদির গ্রামের বাড়ি জামালপুরের দেয়ানগঞ্জ উপজেলার পুল্লাকান্দি গ্রামে। সে মো. আবু হানিফ ও লিপি শিকদার দম্পতির সন্তান। তারা ভাটারা এলাকায় বসবাস করতো।