সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার মৃতদেহ ৮০ টুকরা করেছিল ‘কসাই’ জিহাদ। এরপর সেই দেহাংশ কলকাতার ভাঙড় এলাকার নানা জায়গায় ফেলা হয়। এই কাজের বিনিময়ে হত্যাকারীদের কাছ থেকে সে পাঁচ হাজার রুপি পেয়েছিল। তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে শনিবার হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আনোয়ারুল আজিমের দেহাংশ উদ্ধারে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভাঙরের খালে তল্লাশি চলছে। এখনও কিছু উদ্ধার করা যায়নি। যেহেতু জলাশয়ে ফেলা হয়েছে সেহেতু দেহের সব অংশ উদ্ধার করা কঠিন এমনটাই মনে করছে পুলিশ। কারণ পানি থাকা জীবজন্তু এগুলো খেয়ে ফেলতে পারে।
১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। ১৮ মে আনোয়ারুল আজিমের খোঁজ মিলছে না বলে পুলিশে অভিযোগ জানান তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ১৩ তারিখ নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন আনোয়ারুল আজিম। হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত জিহাদ ও সিয়াম নামের দুই ব্যক্তিকে। জিহাদ পেশায় কসাই। বাংলাদেশের বাসিন্দা হলেও মুম্বাইতে কাজ করতো সে।
জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ জানিয়েছে, নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে প্রথমে ক্লোরোফর্ম দিয়ে সংজ্ঞাহীন এবং পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় আনোয়ারুল আজিমকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারী বস্তু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। তার পর রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে দেহ ৮০ টুকরা করে ভাঙড়ের জলাশয়ে ফেলা হয়।