আইন ও অপরাধ

পরোয়ানা জারির পরদিন প্রিন্স মামুনের আত্মসমর্পণ, জামিন মঞ্জুর

মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় লায়লা আখতার ফরহাদের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরদিনই আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন।

মঙ্গলবার (৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন প্রিন্স মামুন। শুনানি শেষে আদালত আদালত ১ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিনের আদেশ দেন।

প্রিন্স মামুনের পক্ষে জামিন শুনানি করেন মাজেদুর রহমান (সোহাগ)। তিনি জামিনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন লায়লা আখতার ফরহাদ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তিন বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় লায়লার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় বাস করতে থাকে। এরপর থেকে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতো। প্রায় সময়ই মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় আসতো। সে সময় অশ্লীল ভাষায় কথা বলত। এমনকি মাঝে মধ্যে লায়লাকে মারপিট করতো। বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পাঁয়তারা করত মামুন।

গত ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাসায় আসে তারা। এ সময় মামুনসহ আরও দুজন মদ পান করার জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করে। লায়লা তাকে নিষেধ করে এবং বাধা দেয়। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে গালি দেয়। গালি দিতে নিষেধ করলে মামুন লায়লাকে মারধর করে ও হত্যার চেষ্টা করে। 

সম্প্রতি মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। সোমবার (৩ জুন) পুলিশের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। পলাতক থাকায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পরদিন মঙ্গলবার (৪ জুন) আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন প্রিন্স মামুন।

জামিন পেয়ে প্রিন্স মামুন সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটি মিথ্যা। আসলে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।