উগ্র জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস নির্মূল, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার ও কিশোর অপরাধকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৫ দফা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন র্যাবের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশীদ।
রোববার (২৩ জুন) র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে র্যাবের অধিনায়ক সম্মেলনে বিভিন্ন ইউনিটের উপস্থিত কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা দেন তিনি।
র্যাবের ডিজি জানান, র্যাবকে পাঁচ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত প্রযুক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায়, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও সকল কার্যক্রমে আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কাজ করতে চায় র্যাব।
সম্মেলনে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট র্যাব বাহিনীর কর্মপরিধি বৃদ্ধি করতে চায় তারা।
এ সময় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে রূপান্তরের অংশ হিসেবে র্যাব ফোর্সেসও একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও প্রযুক্তিনির্ভর ‘স্মার্ট বাহিনী’ হিসেবে আত্মপ্রকাশে মহাপরিচালক দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি র্যাবের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকার কথা বলেন। র্যাব এর পবিত্র পোশাকের সম্মানহানি হয় এমন কাজ করা থেকে বিরত থেকে এসওপি অনুযায়ী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
র্যাব ফোর্সেস এর প্রতিটি সদস্যের পোশাক-পরিচ্ছেদ, চলাফেরাসহ সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা বজায় রাখা, চেইন অব কমান্ড অনুসরণ এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ হতে বিরত থাকার বিষয়ে নির্দেশনাও দেন নতুন ডিজি।
এসব নির্দেশনার পাশাপাশি মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট থেকে বাংলাদেশের সংবিধান, আইন, বিধি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার ভিত্তিতে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে পুরোপুরি সচেতন থেকে মানবাধিকার, জেন্ডার সংবেদনশীলতা ইত্যাদি বিষয়কে সমুন্নত রেখে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার উপর গুরুত্বরোপ করেন। এ থেকে ন্যূনতম বিচ্যুতি কিংবা ব্যত্যয় যাতে না হয় সে বিষয়ে সর্তক করেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে সকল সদস্যদের অপরাধ বা অপেশাদার কাজে না জড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।