আইন ও অপরাধ

আবেদ আলীসহ ৬ জনের স্বীকারোক্তি, একজনের অস্বীকৃতি

বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ ৬ আসামি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল অস্বীকৃতি জানান। পরে ৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এর মধ্যে গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সাইম হোসেন এবং লিটন সরকারকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আর ১০ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

ঢাকার পৃথক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৬ আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আবু সোলায়মান মো. সোহেলকেও কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত ১০ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরা হলেন— সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম, পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান।

এদিকে, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সোমবার (৮ জুলাই) রাতে সিআইডির পক্ষ থেকে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করা হয়।