আইন ও অপরাধ

পুলিশ হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতাসহ ৭ জন রিমান্ডে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে হত্যার মামলায় ডেমরা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানাসহ সাতজনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (২৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন—দনিয়া ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এরফান ওরফে রোকন, ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য মো. আবু বক্কর, রবিউল ইসলাম, মো. সৌরভ মিয়া, মো. তারেক হোসেন ও ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের (বিজ্ঞান বিভাগ) ছাত্র হাসনাতুল ইসলাম ফাইযার।

এর আগে মামলার তদন্ত সংস্থা আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ইমতিয়াজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ পুলিশের নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮) পরিবারসহ মাতুয়াইল মাতৃসদন হাসপাতালের বিপরীত পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টার দিকে গণভবনে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হন তিনি৷ যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রিজের উত্তর পাশে আসামাত্রই সাড়ে ৯টার দিকে উল্লিখিত আসামিগণসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে। এর পর তাকে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাস্তায় পড়ে গেলে আসামিরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে  পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নাক, কান, মুখমণ্ডল, গলা, হাত, বুক, পেট, ডান পায়ের হাটুর নিচে গোড়ালির নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারিভাবে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তাকে হত্যা করা হয়। এর পর তাকে রশি দিয়ে ফুটওভার ব্রিজের সাথে বুলিয়ে রাখে। মৃতদেহ নিয়ে উল্লিখিত আসামিগণ ও অন্যরা পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠে এবং মৃতদেহ গুম করার লক্ষ্যে উলঙ্গ করে মৃতদেহে আগুন লাগিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করে। 

ওই ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৪ জুলাই নিহতের ভগ্নিপতি ফজল প্রধান মামলা দায়ের করেন।