আরেকটি নির্যাতিত হাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি হাউজিং প্রকল্পের ঘাস বনে হাতিটি উদ্ধার করে। পরে হাতিটিকে ট্রাকে করে গাজীপুর সাফারি পার্কে নেওয়া হয়েছে। হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে জড়িত মাহুতকে আটক করা হয়েছে।
বন মন্ত্রণালয় জানায়, উদ্ধার হওয়া হাতিটির নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ৩০ আগস্ট বন অধিদপ্তরের দুটি টিম সারাদিন তল্লাশি চালায়। তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাতিটি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে দেখে। সন্ধ্যার পর বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে মাহুত হাতিটি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে, বন বিভাগের সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় মাহুতকে আটক করলেও সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও হাতিটি উদ্ধার করতে পারেনি।
অবশেষে, শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে একটি হাউজিং প্রকল্পের ঘাস বনে হাতিটি পাওয়া যায়। পরে হাতিটিকে ট্রাকে করে গাজীপুর সাফারি পার্কে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২৯ আগস্ট কুমিল্লা থেকে আরেকটি হাতি উদ্ধার করা হয়েছিল। সেটিও নির্যাতনের শিকার ছিল এবং চাঁদাবাজিতে বাধ্য করা হচ্ছিল। সাফারি পার্কের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই দুই হাতির মাহুতেরা পরস্পর পরিচিত ছিল। উদ্ধার হওয়া হাতি দুটির কোনও লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানানো হয়েছে।