৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় দায়ের করা মামলায় রিমান্ড শেষে রংধনু গ্রুপের পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষে শুক্রবার মো. মিজানুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান দেওয়ান।
গত ৩০ এপ্রিল মাহবুব রহমান মিধু বাদী হয়ে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। মিজানুর এ মামলার ৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। এ মামলায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রফিকুল ইসলামের নির্দেশে গত ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টায় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কিছু লোক মেসার্স ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও সিটি মাল্টি এগ্রিকালচারাল কোম্পানির জমিতে অনধিকার প্রবেশ করেন। সেখানে থাকা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ও কেটে চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় কোম্পানির সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা তিনজন নিরাপত্তাকর্মী বাধা দিলে আসামিরা এলোপাথারিভাবে কিল-ঘুষি মেরে তাদের আহত করে। আসামি কাওসার আহমেদ অপু মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় আসামিরা হুমকি দিয়ে বলে, ‘এই সম্পত্তির মালিক আমরা। যদি এই সম্পত্তি দখলে রাখতে চাস, তাহলে তোদের বসকে বলবি, পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দিতে হবে। যদি চাঁদা না দেয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরো লোকজন নিয়ে এসে এই সম্পত্তি দখল করে নেবো এবং যে বাধা দেবে তাকেই মেরে লাশ গুম করে ফেলব।’আসামিরা কোম্পানির সাইনবোর্ড ভেঙে চুরি করে নিয়ে ২ লাখ টাকার ক্ষতি করে।