ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে নামে বেনামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহির এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল। ব্যাংক থেকে অবৈধ ঋণ মঞ্জুর করাসহ নানা অনিয়ম রয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে। অবৈধ টাকায় তিনি হয়েছেন অসংখ্য কোম্পানির মালিক।
বিদেশে টাকা পাচারসহ আবু জাহির ও এইচ বি ইকবালের অবৈধ সম্পদের চাঞ্চল্যকর তথ্যের হদিস পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মঙ্গলবার আবু জাহির এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
সংস্থটির ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আবু জাহিরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য রয়েছে।তথ্যানুসন্ধানকালে জানা যায়, তার নিজ নামে নগদ জমা ৩৩,৪১,৩৫৩ টাকা, সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগ ১৯,২০,০০০টাকা, রাজউকে প্লট, স্ত্রীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে- এই খবর গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ গুলশানে তার মালিকানাধীন হোটেল রেনেসাঁ, গুলশান-২ এ হিলটন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট নির্মাণ এবং প্রতিষ্ঠা করেছেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা। সদস্য হয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা)। গত এক যুগে এমন তিনি অসংখ্য কোম্পানির মালিক হয়েছেন এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদ পদবীতে থেকে তিনি আরও বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেন।
গত ১৩ থেকে ১৪ বছরে তিনি শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দেশে ও বিদেশে অর্জন করেছেন বলে জানা যায়। তাই তার অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদের বিষয়ে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।