আইন ও অপরাধ

৪৭ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সালমান-আনিসুলসহ ১৫ জনকে

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনকে পৃথক ৪৭ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালত শুনানি শেষে পৃথক এসব মামলায় তাদের দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। 

এদিন সকালে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ৭ থানার পৃথক ৪৭ মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন পুলিশ।

আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন৷ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সালমান এফ রহমানকে মতিঝিল থানার ১৭ মামলা, মিরপুর থানার ৪ মামলা, ধানমন্ডি ও বাড্ডা থানার একটি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মিরপুর থানার ৭ মামলায়, বাড্ডা ও ধানমন্ডি থানার একটি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মিরপুর মডেল থানার ৭ মামলা, মোহাম্মদপুরের একটি, ধানমন্ডি থানার তিনটি, বাড্ডা থানার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জুনাইদ আহমেদ পলককে মিরপুর মডেল থানার তিনটি, বাড্ডা থানার দুটি, ধানমন্ডির এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

এছাড়া, রাশেদ খান মেননকে মিরপুর মডেল থানার দুটি, হাসানুল হক ইনুকে মিরপুর-বাড্ডা-ধানমন্ডির থানায় একটি করে মোট তিন মামলায়,  দীপু মনিকে বাড্ডা থানার এক মামলায়,  সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে মোহাম্মদপুর থানার দুইটি ও আদাবর থানার এক মামলায়, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালকে বাড্ডা থানার এক ও ধানমন্ডি থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ডিবির সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামকে তেজগাঁও থানার এক মামলায় ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রুপাকে মোহাম্মদপুর থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বাড্ডা থানার এক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম আলী ও শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।