আইন ও অপরাধ

‘বালুর ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটকে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ওসি রফিকুল’

রাজধানীর গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বালুর ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটকে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন বলে আদালতে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী।

২০১৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বালুর ট্রাক রাখার মামলায় শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এদিন রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. পায়েল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।

শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর গুলশান থানার সাবেক ওসি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শত শত বালুর ট্রাক খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনে রাখা হয়, যেন তিনি বাসা থেকে বের হতে না পারেন। বালুর ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটকে রাখার বুদ্ধি আগে আর কারো মাথায় আসেনি। দারুণ বুদ্ধি তার! খালেদা জিয়া বাসা থেকে বের হয়ে গেটের সামনে আসলে পিপার স্পে মারা হয়। আমরা দেখেছি, এগুলো ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া  ফরিদপুর, গোপালগঞ্জে মারামারিতে ব্যবহৃত হয়। খালেদা জিয়ার মুখে পিপার স্প্রে মারা হয়। পাপিয়া, মনির মুখেও মারা হয়। এতে তাদের শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। 

তিনি বলেন, এর পর গণভবনে যান রফিকুল ইসলাম। শেখ হাসিনা পিঠে হাত দিয়ে তাকে বাহবা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার জন্য যা যা করার করবেন। তাকে জিজ্ঞাসা করুন, তিনি কেন খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করলেন? বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা করতে যাওয়া হয়। কিন্তু, মামলা নেওয়া হয়নি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তিনি বলেন, তার কাজ বালুর ট্রাক আনা নয়। তিনি ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশ পালন করেন। তিনি অপরাধমূলক কাজে যুক্ত না। বিচার করবেন অপরাধের ওপর, ব্যক্তির ওপর না। তাছাড়া, তিনি অসুস্থ। রিমান্ড বাতিল চেয়ে যে কোনো শর্তে জামিন প্রার্থনা করছি।

শুনানি শেষে রফিকুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী।