আইন ও অপরাধ

‘ভুয়া সমন্বয়ক’ পরিচয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট, গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরায় ‘ছাত্র সমন্বয়ক’ হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের ঘটনায় লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারসহ ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা-পশ্চিম থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মারুফ হাসান পল্লব ও আব্দুল্লাহ আল মামুন সজিব। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ১৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, পাসপোর্ট ও ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উত্তরা-পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা নয় দশ জন দুষ্কৃতকারী উত্তরা-পশ্চিম থানার ১২ নম্বর সেক্টরের শাহ মখদুম অ্যাভিনিউ রোডের ৬১ নম্বর বাসার ম্যানেজারকে জিম্মি করে।বাসাটির ষষ্ঠ তলায় ড. হারুনুর রশিদ হাওলাদারের ফ্ল্যাটে বিজিএমইএ ও শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং ছাত্র সমন্বয়কের পরিচয় দিয়ে ফ্ল্যাটের ভেতরে প্রবেশ করে তারা।দুষ্কৃতকারীরা ফ্ল্যাটের ভেতরে প্রবেশ করার পর ফ্ল্যাটে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর খুলে ফেলে এবং উপস্থিত ড. হারুনুর রশিদ হাওলাদারের স্ত্রী ড. মমতাজ শাহানারাকে বলে তাদের ফ্ল্যাটে অবৈধ অস্ত্র ও টাকা মজুত আছে।

এভাবে তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ড. মমতাজ শাহানারার কাছে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুষ্কৃতকারীদের মধ্যে কয়েকজন তার সঙ্গে কথা বলতে থাকে এবং বাকিরা তার ঘর থেকে ৮৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১৫ লাখ টাকা লুট করে নেয়। স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট করে তারা রাত ২টা ৪০ মিনিটের দিকে চলে যাওয়ার সময় সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআরও নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত রোববার (২০ অক্টোবর) ড. মমতাজ শাহানারা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা-পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।

উদ্ধার হওয়া স্বর্ণালঙ্কার। ছবি: পুলিশের সৌজন্যে

মামলার সূত্র ধরেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। পরে গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের হোটেল প্যারাডাইজ থেকে ঘটনায় জড়িত মো. মারুফ হাসান পল্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে অন্য এক অভিযানে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন সজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার এবং লুণ্ঠিত বাকি মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।