জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নম্বর ১১১-৭৬)–এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল শনিবার পাইওনিয়ার রোডের ৬৬ নম্বর ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আগামীকাল শনিবার বেলা ২টায় কাকরাইলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। এতে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্ব করার কথা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। জাতীয় পার্টি বলেছে, ওই সময় দলের নেতাকর্মীরা শনিবারের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করছিলেন।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে সমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘কেউ ভয় পাবেন না যে যেখানে আছেন। আমরা মরতে আসছি, আমরা মরতে চাই। কত লোক মারবেন ওনারা, আমরা সেটা দেখতে চাই।’
এদিকে, পতিত সরকারের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টির এ সমাবেশসহ যে কোনো কর্মসূচি প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা। তারা জাতীয় পার্টির সমাবেশস্থলের কাছাকাছি সময়ে প্রতিরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।