বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মো. মাসুদ হত্যাসহ ৯ মামলার এজাহারনামীয় আসামি রাজধানীর কদমতলীর ৫২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুর মাদ্রাসা রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কদমতলী থানা-পুলিশ।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
কদমতলী থানা সূত্রে জানা গেছে, মো. মাসুদ হত্যার ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর স্ত্রী হেনা বেগমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকালে কদমতলী থানার মেরাজনগরে প্যারাডাইস প্যালেস নামে নির্মাণাধীন ভবনের সামনের সড়কে অনেক ছাত্র-জনতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেন মো. মাসুদ। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ ও এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মাসুদ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ জুলাই রাতে তিনি মারা যান।
সূত্র জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আজ রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মালাসহ ৯টি মামলা রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।