জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) শুনানির দিন ধার্য ছিল।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে হাসিনা সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে হাজির করা হয়। আদালত তাদের শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুই অভিযোগের তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় চায় তদন্ত সংস্থা। আদালত এক মাস সময় বেঁধে দেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুনানিতে কী হয়, তা দেখতে সকালেই আদালতে আসেন প্রয়াত মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী। সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে।
এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
শুনানি প্রত্যক্ষ করার পর মাসুদ সাঈদী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন তিন মাসের আগের ঘটনা। সারাদেশের ১৮ কোটি মানুষ অর্থাৎ ৯০ শতাংশ মানুষ এ ঘটনার সাক্ষী। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ জালেমদের বিচার হবে। অবশ্যই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। হাসিনাসহ তার ফ্যাসিস্ট দোসরদের সর্বোচ্চ সাজা হবে এই ট্রাইব্যুনাল থেকে। এটাই দেশবাসী আশা করছে।’’