আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কন্যা সুমাইয়া হোসেন, পিএস রাফেজা মজিদ ও এপিএস ফকরুল মজিদ মাহমুদ কিরণের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
রাইজিংবিডি ডটকমকে এই তথ্য দিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
এদিন দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণপূর্বক নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর/কাবিখাসহ সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎপূর্বক বিদেশে অর্থ পাচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির অনুসন্ধান কার্য পরিচালকনার জন্য অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
আমু ও তার কন্যা সুমাইয়া হোসেন, এপিএস ফকরুল মজিদ মাহমুদ এবং তার স্ত্রী রাফেজা মজিদ দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বলে আবেদনে বলা হয়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিতকরণ প্রয়োজন বলে চুক্তি দেখানো হয়।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়, তারপর থেকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের হতাহতের অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হতে থাকেন দলটির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা।
গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন ৭ নভেম্বর তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১২ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।