বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে উত্তাল সরকারি তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকেই নানা স্লোগানে মুখরিত ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক। এদিন বেলা ৩টার দিকে বৈঠক করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তিতুমীরের ১৪ জনের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদল তিতুমীরে ফেরার আগেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে দেখা গেছে।
বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের আনুমানিক দুই প্লাটুন সদস্যকে নতুন করে মোতায়েন করা হয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের সামনে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র রাইজিংবিডিকে জানিয়েছে, সোমবার শিক্ষার্থীরা রাস্তা আটকে যে দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিল, আজ সেটা করতে দেওয়া হবে না। সেজন্য অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, বৈঠক শেষ না হওয়ার আগেই ‘কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা’ নিয়ে আলোচনা চলছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা ফেরার আগেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন অবশ্যই ‘ভাল কিছুর’ সংকেত দিচ্ছে না। তাদের ধারণা, হয়তো আলোচনায় আশানুরূপ ফল আসেনি। সেজন্য আজই ফের ‘ব্লকেড কর্মসূচিতে’ যেতে পারেন শিক্ষার্থীরা।
মন্ত্রণালয়ে যাওয়া ১৪ সদস্যের এ দলে রয়েছেন—মাহমুদ হাসান মুক্তার, মোশাররফ রাব্বি, নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, তোয়াহা, কাউসার।
১৮ নভেম্বর মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বনানীর প্রধান সড়ক ও মহাখালী রেল ক্রসিং অবরোধ করে রেখেছিল।