আইন ও অপরাধ

‘আবারো মোহাম্মদপুর’: অপরাধীর অভয়ারণ্যে প্রাণে বাঁচা, না-বাঁচার গল্প বাড়ছে

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরালো তৎপরতার মধ্যেই ঢাকার মোহাম্মদপুরে অপরাধী চক্রের প্রকাশ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রীতিমতো প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন বাসিন্দারা; সোমবার রাতের সংঘবদ্ধ এক দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ে ঘটনা আবারো ভয় জাগিয়েছে সেখানকার জনমনে।

ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার ঘটনা। বাজার করে বাসায় ফিরছিলেন রবিউল ইসলাম মিল্টন, যিনি ওয়ালটন গ্রুপের অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। আদাবরের ৯ ও ১০ নম্বর গলির মাঝামাঝি আসামাত্রই পাঁচ ব্যক্তি তার গতিরোধ করে, যাদের কাছে ছিল ধারালো অস্ত্র।

অস্ত্র নাচিয়ে তারা তাকে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে, একপর্যায়ে শরীরেও আঘাত করে; যাতে তিনি জখমের শিকার হয়েছেন। ওই অবস্থাতেই অস্ত্রধারীরা রবিউল ইসলামের কাছে থাকা ব্যাগের ল্যাপটপ, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

এ দৃশ্য দেখে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অস্ত্রধারীরা তার ব্যাগটি ফেলে পালিয়ে যায়; তবে মোবাইল নিয়ে যায়।

ওয়ালটন গ্রুপের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনার পর রাতে থানায় যে সাধারণ ডায়েরি-জিডি দায়ের করেছেন, তাতেই এমন বর্ণনা উঠে এসেছে।

আদাবর থানার ওসি ইমতিয়াজ ভূঁইয়া রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “অভিযোগ পেয়ে আমরা শুরু তদন্ত করছি। তদন্তসাপেক্ষে দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, পাশাপাশি মোবাইল উদ্ধারে প্রযুক্তির সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকার পুরোনো আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্যে মোহাম্মদপুর একটি, যেখানে রয়েছে বহু স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, নতুন নতুন আবাসন; সেখানে রাত সাড়ে ৮টাতেও প্রকাশ্যে অস্ত্রধারীদের মুখে পড়ার ঘটনাকে ‘জীবন ওপর দিয়ে বিপর্যয়’ বয়ে যাওয়ার মতো বলে মনে করছেন রবিউল ইসলাম।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রবিউল ইসলাম রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, “তারা চাপাতির চ্যাপ্টা পাশ দিয়ে আমার মাথায় দুটি, চাপাতির উল্টো পাশ দিয়ে বাঁ পায়ের পেছনে হাঁটুর ওপরে, ডান হাতের কব্জিতে আঘাত করে।” শুধু রবিউল ইসলামের ওপরই এই প্রাণ-সংশয়ী আঘাত আসেনি; ঘটনার যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন, তাতে আরও ভয়াল চিত্র উঠে এসেছে। 

তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “ছিনতাইকারীরা এরপর ৮ নম্বর গলি থেকে আরও একজনের মোবাইল ফোন ছিনাতাই করে; এরপর কয়েকজন তাদের ধাওয়া দিলে একজনের মাথায় চাপাতি দিয়ে কোপ মেরে পালিয়ে যায়।”

“তবে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার ল্যাপটপের ব্যাগটি ফেলে রেখে যায়। ৭ নম্বর রাস্তার একটি বাড়ির কেয়ারটেকার আমার ব্যাগটি বাড়ির সামনে থেকে পেয়ে সংরক্ষণ করেন। এরপর পুলিশ আসার পর আমার ল্যাপটপ বুঝিয়ে দিয়ে তারা আমাকে থানায় নিয়ে যায় জিডি করানোর জন্য। আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা বড় রকমের ইনজুরি থেকে রক্ষা করার জন্য।”

তবে রবিউল ইসলাম তার পোস্ট শেষ করেছেন এভাবে: “হায়রে মোহাম্মদপুর! আবারো মোহাম্মদপুর!”

আদাবর থানা এলাকা একসময় মোহাম্মদপুরের মধ্যে ছিল; এখনও সেটি মোহাম্মদপুরের সঙ্গে অলিগলি দিয়ে যুক্ত। এই দুই থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়া ছিনতাইকারীদের পরিচয় শনাক্ত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা মোহাম্মদপুরের কোনো গলির বাসিন্দা।

রবিউল ইসলামের ল্যাপটপ, মোবাইল ছিনতাই করা, পরপরই অস্ত্রধারীদের হাতে আরেকজনের ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া, ধাওয়া দেওয়া লোকজনের মধ্যে একজনের গুরুতর জখমের শিকার হওয়ার ঘটনাকে ‘দুর্ষর্ধ সন্ত্রাসী কাজ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

রবিউল ইসলামও বলছেন, “প্রকাশ্যে যেভাবে তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছে, যদি আমি কোনো ধরনের কথাবার্তা বলতাম, তাহলে হয়তো বা জীবনের ওপর দিয়ে বড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারত। যাই হোক আল্লাহ রক্ষা করেছেন।” 

আতঙ্ক ছড়ানো একরাতের এই ছিনতাইয়ের ঘটনা মোহাম্মদপুরে যেন নৈমিক্তিক ঘটনা। এটিসহ আশপাশের এলাকার অপরাধ প্রবণতার লাগাম যেন টানাই যাচ্ছে না।

দলবদ্ধভাবে একের পর এক ছিনতাই, চুরি ডাকাতি, হত্যার মতো সব অপরাধ ঘটে চলেছে। আবাসিক এলাকাগুলো ঘিরে অস্থায়ী সেনাক্যাম্প বসানোর পর কয়েকদিন অস্ত্রধারী ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য কমেছিল, তবে তার শেষ হয়নি।

সংবাদমাধ্যমের খবর রয়েছে, এর আগে মোহাম্মদপুরে ১১ অক্টোবর গভীর রাতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এক ব্যবসায়ীর বাসায় ঢুকে সাড়ে ৭৫ লাখ টাকা ও ৬০ ভরি স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা মোহাম্মদপুরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

তবে ঘটনার কিছু দিনের মধ্যে ডাকাতিতে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব ও ডিবি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ২০ অক্টোবর  মোহাম্মদপুরেই দিনে-দুপুরে অস্ত্রের মুখে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেড ৩ নম্বর সড়কে নেসলে কোম্পানির পণ্য পরিবহনকারী একটি গাড়ি থামিয়ে ১২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা।

গত ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় রবিউল ইসলাম (৩৫) নামে এক নিরাপত্তাকর্মীর বুকে, পিঠে ও হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে অস্ত্রধারীরা। এতে প্রাণ যায় এই যুবকের।

গত ১৬ অক্টোবর রাতে মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. শাহনেওয়াজ (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।

নিহতের বোন নাসরিন আখতার বলেন, তার ভাই নারায়ণগঞ্জে একটি দোকানে কাজ করতেন। রাতে ক্যাম্পের ভেতরে গোলাগুলি হয়। ওই সময় শাহনেওয়াজ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিয়া মসজিদ কাঁচাবাজার মার্কেট দখলকে কেন্দ্র করে গুলির ঘটনা ঘটে। মার্কেটের সভাপতি আবুল হোসেন (৫০) ও তার ছোট ভাই মাহবুবকে (৪২) গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি মোটরসাইকেলে করে তিনজন ব্যক্তি বাজারে আসে। এছাড়াও চলতি মাসে আরও অনেক অপরাধ সংঘটিত হলেও ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই থানা পুলিশে অভিযোগ করতে আগহ কম দেখাচ্ছে। ছিনতাই-ডাকাতির শিকার হয়েছেন- এমন অনেকে পুলিশি সহয়তা নেয়নি। অর্থাৎ জিডি কিংবা মামলা করেনি।

কারণ হিসেবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, থানা-পুলিশ-আদালতের ঝামেলা এড়াতে পুলিশের শরণাপন্ন হননি তারা। অনেক ভুক্তভোগী আবার ডাকাতির শিকার হয়ে থানায় গিয়ে ছিতাইয়ের মামলা করেছেন।

তবে পুলিশ বলছে, জিডি-মামলা না করলে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা মুশকিল, একইসঙ্গে অপরাধীদের শনাক্ত করাও অনেক সময় সম্ভব হয় না।

অবশ্য এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব এলাকায় বেশি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটবে, সেসব এলাকার ওসিসহ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোহাম্মদপুরে ঘুরে ফিরে হচ্ছে অপরাধ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে অবৈধ মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ, বাজারসহ নানা খাত দখলে নিতে মরিয়া মোহাম্মদপুর এলাকার একাধিক গ্রুপ। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে অশান্ত এলাকাটি।

মোহাম্মদপুরে ঘরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। এসব সংঘর্ষে প্রদর্শন ও ব্যবহার করছে অবৈধ স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র, হচ্ছে রক্তপাত। সেই সঙ্গে ঝরছে জীবনও।

পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, বেশিরভাগ চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি ঘটছে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত। গত দুই মাসে যেসব ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, তার সবই এই সময়সীমার মধ্যেই হয়েছে।

এর মধ্যে ডাকাতির ঘটনা বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সড়ক, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তারা বেশি হানা দিয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকের গ্রাহকদেরও টার্গেট করা হচ্ছে। আর ভোরের দিকে বাসস্ট্যান্ড, বিদ্যুৎহীন অন্ধকার সড়কে রিকশাযাত্রীদের নিশানা বানিয়েছে ছিনতাইকারীরা।

ডিএমপির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছিনতাইকারী বেশি ঢাকার মোহাম্মদপুর, শাহবাগ, ভাটারা, বাড্ডা, শেরেবাংলানগর, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, হাতিরঝিল, মিরপুর, পল্লবী, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত ও উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায়। এসব অপরাধে জড়িতদের পূর্ণাঙ্গ বৃত্তান্তও রয়েছে। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী ও ডাকাত রয়েছে তেজগাঁও বিভাগে। সবচেয়ে কম মিরপুর বিভাগে।

ডিএমপির একটি সূত্র বলছে, গত দুই মাসে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতি বেড়েছে। ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে; প্রতিটি থানার ওসিকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ছিনতাই-ডাকাতি প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতি হবে, সে এলাকার ওসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশেরই কর্মকর্তা বলেছেন, ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা একটি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন, তা নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে। থানার ওসিকে প্রতি সপ্তাহে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে হয়।

ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের মামলা হলে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক এবং সংশ্লিষ্ট থানার ওসির ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য হয় বলে তুলে ধরে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এসব কারণে ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের মামলা নিতে চায় না থানা পুলিশ।

সংবাদমাধ্যমের খবরে চোখ রাখলেই ঢাকায় রাত-বিরাতে চলাচলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় কেউ না কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে; সেই সঙ্গে অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে প্রাণ-সংশয় হচ্ছে; কেউ কেউ মারাও যাচ্ছেন।

কেন এমন পরিস্থিতি, সে বিষয়ে জানতে চাইলে সার্বিক অবস্থা টেনে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সবার মধ্যে স্বাধীন স্বাধীন ভাব ছিল। প্রত্যেকটি থানায় ৫ থেকে ৮টি করে টহল গাড়ি ছিল। এ গাড়িগুলো ৫ তারিখের পর অনেক থানায় ছিল না। যে থানায় বেশি গাড়ি ছিল সেখান থেকে অন্য থানায় ভাগ করে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়। ৮টি টহলের জায়গায় একটি টহল কার্যক্রম প্রথম দিকে শুরু করা হয়। দুই মাসের মাথায় বর্তমানে সব থানায় মোটামুটি টহল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে।

“একটা ঘটনা ঘটার পর তদন্তে দিন-রাত পরিশ্রম করে আমরা আসামি শনাক্তের পর তাদের ধরেছিও।”

মোহাম্মদপুরে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই-খুনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাইল হাওলাদার বলেন, “মোহাম্মদপুরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনের মতো ঘটনার ছড়াছড়ি ছিল আগে। তবে বর্তমানের পরিস্থিতি আমাদের কন্ট্রোলে রয়েছে। অপরাধ চিরতরে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে অপরাধ হলে যাতে চিহ্নিত করা যায় এবং অপরাধীদের শনাক্তের পর আইনের আওতায় আনা যায়, আমরা সেই চেষ্টাই করছি।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেছন, মোবাইল বা মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা নেওয়ার বদলে জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। অনেক সময় ভুক্তভোগীরাও ঝামেলা এড়াতে জিডি করেই চলে আসেন।

সবচেয়ে বেশি ছিনতাইকারী ও ডাকাতের এলাকার মধ্যে মোহাম্মদপুরের নাম রয়েছে; যেখানে অপরাধীদের কাছ থেকে জিসিনপত্র উদ্ধারের উদাহরণ থাকলেও তা কমই।

ওয়ালট কর্মকর্তা রবিউল ইসলামেরও ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে কি না, সে তথ্য তার কাছে আসেনি।