আইন ও অপরাধ

কাঠগড়ায় অঝোরে কাঁদলেন ওসি মাজহার, ন্যায়বিচারের আশ্বাস আদালতের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কেঁদেছেন গুলশান থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল হক। এ সময় আদালত তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, নির্দোষ হলে আপনি ন্যায়বিচার পাবেন।  

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে পর্যায়ক্রমে সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর জোনের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক, ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ও ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

মাজহারুল ইসলামের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি সাভারের ওসি ছিলেন। ওই এলাকায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, গুলি চালানো হয়। তারা গণহত্যার দায় এড়াতে পারেন না।

এ সময় আসামির ডকে বসে থাকা মাজহারুল ইসলাম দাঁড়িয়ে বলেন, আমি কখনো সাভারের ওসি ছিলাম না। গুলশানের ওসি ছিলাম। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না। 

এসব কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন মাজহারুল ইসলাম। তিনি ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন বলে দাবি করেন। কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটাননি বলেও দাবি করেন মাজহারুল ইসলাম।

তখন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, নির্দোষ হলে আপনি ন্যায়বিচার পাবেন। 

পরে তাজুল ইসলাম জানান, সাভার এলাকার অভিযোগ তার (মাজহারুল ইসলাম) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

এরপরও কাঁদতে থাকেন ওসি মাজহারুল ইসলাম। তাকে দুই হাত দিয়ে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।