মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের পর এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে পুরান ঢাকার জজ আদালতের নিজ চেম্বারে এ কথা বলেন তিনি।
এহসানুল হক সমাজী বলেন, ‘‘আমি এর মধ্যে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, তৌফিক-ই-এলাহী, ফারুক খান ও জুনায়েদ আহমেদ পলকের পক্ষে মামলা লড়তে ফাইল রিসিভ করেছি। ট্রাইব্যুনালে তাদের পক্ষে ওকালতনামা জমা দিয়েছি। এই পর্যায়ে আমার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের বিশেষ পরামর্শক পদে যোগদান করা অনৈতিক হবে। আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, কোনও পক্ষেই (প্রসিকিউশন বা আসামি) মামলা লড়বো না।’’
বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশ হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যান ও বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল এক সমাজীকে।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঁচ আসামির পক্ষে শুনানি করতে যান এহসানুল হক সমাজী।
শুনানি শুরু হলে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আদালতকে উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আজকে আসামিপক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী শুনানি করতে এসেছেন। তবে তিনি রাষ্ট্রীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে যাচ্ছেন বলে জেনেছি। দুই—একদিনের মধ্যেই হয়তো সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করবেন। তাই তিনি আসামি পক্ষে শুনানি করলে এটা হবে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট।’’ এ সময় তাজুল ইসলাম তাকে আসামি পক্ষে শুনানি না করতে অনুরোধ জানান।
এরপর এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেন, ‘‘আমি এখনও ফরমাল কোনো লেটার পাইনি। ফরমাল লেটার না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না। এ ছাড়াও যে পদে আমাকে নির্বাচিত করা হবে, সেটা আমি গ্রহণ করি কি না তাও ভাববার বিষয়।’’
এহসানুল হক সমাজী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ হিসেবে অভিহিত করে তার পদত্যাগ দাবি করেন। পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি আর যোগদান করেননি।