আইন ও অপরাধ

শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা: সহপাঠীসহ ৬ জন রিমান্ডে 

পূর্ববিরোধের জের ধরে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসমাইল হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় তার দুই সহপাঠীসহ ছয়জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ (শিশু আদালত) শামসুল ইসলাম রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলো—ইসমাইলের দুই সহপাঠী শামস তাবরীজ শাফি ও মেজবাহুন নবী তম্ময় এবং আল-মাহমুদ সিয়াম ওরফে প্রান্ত, মৃদুল ওরফে ফ্লেজান,  হাসান ও হোসেন। তারা সবাই কিশোর।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

রাজারবাগ স্কুলে পড়ার সময় শামস তাবরীজ শাফি ও  মেজবাউন নবী তন্ময়ের সঙ্গে ইসমাইল হোসেনের বিরোধ হয়। এর জের ধরে সোমবর (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে শান্তিবাগে ইসমাইলের ওপরে হামলা করে তারা। পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। ইসমাইলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ইসমাইল।

এ ঘটনায় ইসমাইলের বাবা মো. বেলায়েত হোসেন ১৯ নভেম্বর শাহজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

ইসমাইল হোসেন (১৭) ফরিদপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। সে রাজারবাগ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ছাত্র।