মমতার হাতে রোগীকে কোলে নিয়েছেন চিকিৎসক- এমনি একটি ভাস্কর্য ছিল পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গেটের সামনে। সেই ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। ভাস্কর্যের ‘মাথা’ হাতে নিয়ে উল্লাস করতেও দেখা গেছে তাদের।
ড. মাহবুবুর মোল্লা কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের ‘ভুল চিকিৎসায়’ মৃত্যুর পর দশ হাজার টাকা দিয়ে ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ এনে রোববার (২৪ নভেম্বর) হাসপাতাল ও কলেজে হামলা চালায় ১৪ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় হাসপাতালের সামনে থাকা ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে তারা। উল্লাস করে ছবিও তোলে। শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এমনকি, ভাস্কর্যের মুখে কালো কালি দিয়ে ক্রস চিহ্নও এঁকে দেয়।
ভাস্কর্যের ‘মাথা’ হাতে নিয়ে ছবি তোলা নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘ভাস্কর্যের মাথা হাতে নিয়ে ছবি তুলবো। স্টুডেন্টদের মেরেছে। এটার প্রতিশোধ নিয়েছি।’’
এদিন বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান করে। এ সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। পাঁচটার পর সেখান থেকে চলে যায় তারা।
কবির হোসেন নামে এক সিকিউরিটি ইনচার্জ বলেন, ‘‘১৬ বছর ধরে চাকরি করি। এমন ঘটনা আগে দেখিনি। ভাস্কর্যটাও ভেঙে ফেলেছে। কী তাণ্ডবটাই না চালিয়েছে। হাসপাতাল ও কলেজে ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে।’’