পুরোনো ও ত্রুটিপূর্ণ মিসরের বিমান ভাড়া আনার মাধ্যমে সরকারের ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা ক্ষতির মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক ৫ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। একই সঙ্গে তিনি মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন-বিমানের সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার (অব.) মো. জাহিদ হোসেন, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস ও সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল আলম সিদ্দিক (মো. এসএ সিদ্দিক)।
২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র এবং এজাহারভুক্ত ২৩ জনের মধ্যে ১৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও।
উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ফের ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। ফলে উড়োজাহাজ দুটির জন্য রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।